Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন

পাতা

*স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব

করিম উদ্দিন আহমেদঃ

করিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি লালমনিরহাট-২ (তৎকালীন রংপুর-৬)আসন থেকে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে পকিস্তান প্রাদেশিক সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর একই আসন থেকে ১৯৭৩-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

করিম উদ্দিন আহমেদ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম গ্রামে ১৯২৩ সালের ১৯শে মার্চ জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা ছিলেন মৌলভী আজিম উদ্দিন আহমদ এবং মা নেছাবি বেওয়া। তার প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় মদনপুর বৈরাতীর নিলাম্বর পণ্ডিতের পাঠশালায় পরবর্তীতে গঙ্গাচড়ার চিলাখাল পাইকান মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেন। এরপর ভর্তি হন তুষভাণ্ডার উচ্চ বিদ্যালয়ে যেখানে তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।মাড়োয়ারীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে ১৯৪৫ সালে কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে নিজেই পাট ও তামাক ব্যবসায় যুক্ত হন।

করিম উদ্দিন আহমেদ তার জীবদ্দশায় কালীগঞ্জ উপজেলায় বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক ডিগ্রী কলেজ, করিম উদ্দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও করিমপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা। এছাড়াও তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশেও ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে করিম উদ্দিন আহমেদ কালীগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং কালীগঞ্জে মুক্তিবাহিনী গঠনে ভূমিকা পালন করেন। তার বাড়িতে মুক্তিবাহিনীর কার্যালয় স্থাপন করে স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। কালীগঞ্জ মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পাকিস্তানি বাহিনী কালীগঞ্জ দখল করার পর তিনি ভারতের কোচবিহারে চলে যান এবং সেখানে মুক্তিবাহিনীর দুটি ক্যাম্প স্থাপন করেন। এসময় তিনি উত্তরাঞ্চলীয় মুক্তিবাহিনীর সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতে দায়িত্ব পালন করেন।

 

শেখ ফজলল করিমঃ

শেখ ফজলল করিম (৯ এপ্রিল ১৮৮২/বাংলা ৩০শে চৈত্র ১২৮৯ - ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৬) ছিলেন একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।তাঁর লেখা কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি:

কোথায় স্বর্গ?

কোথায় নরক?

কে বলে তা বহুদূর?

মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক

মানুষেতে সুরাসুর

শেখ ফজলল করিম ১২৮৯ বঙ্গাব্দের (১৮৮২ সাল) ৩০ই চৈত্র বর্তমান লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা বাজার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাম আমিরউল্লাহ সরদার এবং মাতার নাম কোকিলা বিবি। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে ফজলল করিম ছিলেন দ্বিতীয়। তার পারিবারিক ডাক নাম ছিল মোনা।

শেখ ফজলল করিমের পরিচিত মূলত কবি হিসেবে হলেও তার জীবনী ও প্রকাশনা অনুসন্ধান করলে দেখা যায় তিনি কবিতা বা কাব্য ছাড়াও বহু প্রবন্ধ, নাট্যকাব্য, জীবনগ্রন্থ, ইতিহাস, গবেষণামূলক নিবন্ধ, সমাজ গঠনমূলক ও তত্ত্বকথা গল্প, শিশুতোষ সাহিত্য, নীতি কথা চরিত গ্রন্থ এবং অন্যান্য সমালোচনামূলক রচনা লিখেছেন। পুঁথি সম্পাদনার ক্ষেত্রেও তার পরিচিত পাওয়া যায়। তার প্রকাশিত অপ্রকাশিত প্রায় ৫৫টি গ্রন্থ রয়েছে। ফজলল করিম রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে তৃষ্ণা (১৯০০), পরিত্রাণ কাব্য (১৯০৪), ভগ্নবীণা বা ইসলাম চিত্র (১৯০৪), ভুক্তি পুষ্পাঞ্জলি (১৯১১) অন্যতম। অন্যান্যের মধ্যে উপন্যাস লাইলী-মজনু, শিশুতোষ সাহিত্য হারুন-আর-রশিদের গল্প, নীতিকথা চিন্তার চাষ, ধর্মবিষয়ক পথ ও পাথেয় প্রভৃতি অন্যতম। এছাড়া প্রচারক, নবনূর, কোহিনূর, বাসনা, মিহির ও সুধাকর, ভারতবর্ষ, সওগাত, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা, আরতি, কম্পতারু শিশু সাথী, মোসলেম ভারত মাসিক মোহাম্মদী, বসুমতী ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় শেখ ফজললকরিমের অসংখ্য কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, উপন্যাস, অনুবাদ প্রকাশিত হয়। সমকালীন মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে তার অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। গদ্য ও পদ্য উভয় শাখায় তার সমুজ্জল উপস্থিতি। ভাবের গভীরতাকে সরলভাবে উপস্থাপন করা ফযলল করিমের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে কাজ করে গেছেন। শেখ ফজলল করিম রচিত উল্লেখযোগ্য পদ্য সরল পদ্য বিকাশ পরিত্রাণ কাব্য চিন্তার চাষ পথ পাথেয় গাঁথা ভক্তিপুষ্পাঞ্জলি

ছবি


সংযুক্তি


সংযুক্তি (একাধিক)